বিখ্যাত ব্যাক্তিদের কিছু উপদেশ ও কথা যা আপনার জীবন বদলে দিবে।
১.শেখ সাদীর বিখ্যাত ৮টি উপদেশ।
→হিংস্র বাঘকে দোয়া করা নিরীহ হরিণের ওপর জুলুম করার নামান্তর।
→প্রতাপশালী লোককে সবাই ভয় পায় কিন্তু শ্রদ্ধা করে না।
→দেয়ালের সম্মুখে দাঁড়িয়ে কথা বলার সময় সতর্ক হয়ে কথা বলো,কারণ তুমি জান না,দেয়ালের পিছনে কে কান পেতে দাঁড়িয়ে আছে।
→মুখের কথা হচ্ছে থুথুর মত,যা একবার মুখ থেকে ফেলে দিলে আর ভিতরে নেওয়া সম্ভব না।তাই কথা বলার সময় খুব চিন্তা-ভাবনা করে বলা উচিৎ ।
→মন্দ লোকের সঙ্গে যার উঠা-বসা,সে কখনো কল্যাণের মুখ দেখবে না।
→বাঘ না খেয়ে মরলেও কুকুরের মতো উচ্ছিষ্ট খাবার মুখে তোলে না।
→কোনো কাজেই প্রমাণ ছাড়া বিশ্বাস করিও না।
→তিন জনের নিকট কখনো গোপন কথা বলিও না-স্ত্রী লোক,জ্ঞানহীণ মূর্খ ও শত্রু।
শেখ সাদীর সম্পর্কে কিছু পরিচয়ঃ
প্রকৃত নাম শরফুদ্দীন ।ডাক নাম মসলেহউদ্দীন।আর উপাধি বাঁ খেতাব হচ্ছে সাদী।তিনি বিশ্বের মানুষের কাছে পরিচিতি হয়ে আছেন শেখ সাদী নামে।জানা যায় কবির বাবা তৎকালীন শিরাজের বাদশাহ আতাবক সাদ বেন জঙ্গীর সেক্রেটারি ছিলেন।কবি নিজে তুকলাবীন সাদ জঙ্গীর রাজত্বকালে কবিতা লিখতেন,এ কারনেই তিনি নিজের নামের সঙ্গে সাদী উপাধি যোগ করেন এবং পরবর্তীকালে শেখ সাদী নামেই পরিচিতি হয়ে পড়েন।
শেখ সাদীর জন্ম ১১৮৪খৃস্টাব্দে এবং মৃত্যু ১২৯২ খৃস্টাব্দে ।বাবার সাহচর্যেই শেখ সাদী শিশূকাল অতিক্রম করেন।বলা যায় দরবেশ পিতার আদর্শেই আদর্শবান হয়ে গড়ে ওঠেন শেখ সাদী। তাঁর কিছু উপদেশ বানী যুগে যুগে প্রচলিত।তার মধ্যে ৮টি উপদেশ পাঠকদের জন্য রইল।(উপরের উপদেশগুলো লক্ষ্য করুন) ।
শেখ সাদীর জন্ম ১১৮৪খৃস্টাব্দে এবং মৃত্যু ১২৯২ খৃস্টাব্দে ।বাবার সাহচর্যেই শেখ সাদী শিশূকাল অতিক্রম করেন।বলা যায় দরবেশ পিতার আদর্শেই আদর্শবান হয়ে গড়ে ওঠেন শেখ সাদী। তাঁর কিছু উপদেশ বানী যুগে যুগে প্রচলিত।তার মধ্যে ৮টি উপদেশ পাঠকদের জন্য রইল।(উপরের উপদেশগুলো লক্ষ্য করুন) ।
বাল্যকালেই সাদীর পিতা ইন্তেকাল করেন।শিশুকাল হতে যদিও শেখ সাদী ফকিরী ও দরবেশী জীবন বেশি পছন্দ করতেন তবুও তিনি জ্ঞান অর্জনকেই বেশি গুরুত্ব দিয়েছিলেন।শেখ সাদী বাগদাদে লেখা পড়া শেষ হয়ে দেশভ্রমণে বের হন।তিনি এশিয়া ও আফ্রিকার দেশগুলো দীর্ঘ সময় ব্যয় করে ভ্রমণ করেন।
তিনি তাঁর দীর্ঘ জীবঙ্কে এভাবে ভাগ করে নিয়েছিলেন____
ত্রিশ বছর লেখাপড়ায়
ত্রিশ বছর দেশভ্রমণে
ত্রিশ বছর গ্রন্থ রচনায়,ভাগ করে নিয়েছিলেন।
শেখ সাদী দৈহিকভাবে অত্যন্ত বলিষ্ঠ ছিলেন।
তিনি পায়ে হেটে পাহাড়,পর্বত,মরুভূমি,নদী-নালা(সাতার কেটে)সবই এমনকি তিনি ফকির দরবেশের ন্যায় খালি পায়ে পাড়ি জমিয়েছেন।
২.ড.এ.পি.জে আব্দুল কালামের সেরা ২৯টি উক্তি,পাল্টে দিতে পারে আপনার জীবন
⤔স্বপ্ন বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত তোমাকে স্বপ্ন দেখতে হবে।আর স্বপ্ন সেটা নয় যেটা তুমি ঘুমিয়ে দেখ,স্বপ্ন হল সেটাই যেটা পুরণের প্রত্যাশা তোমাকে ঘুমাতে দেয় না।
⤔তুমি তোমার ভবিষ্যত পরিবর্তন করতে পারবে না কিন্তু তোমার অভ্যাস পরিবর্তন করতে পারবে এবং তোমার অভ্যাসই নিশ্চিত ভাবে তোমার ভবিষ্যত পরিবর্তন করবে।
⤔একটি ভালো বই একশত ভাল বন্ধুর সমান কিন্তু একজন ভালো বন্ধু একটি লাইব্রেরীর সমান।
⤔সফলতার গল্প পড়ো না কারণ তা থেকে তুমি শুধু বার্তা পাবে।ব্যর্থতার গল্প পড় তাহলে সফল হওয়ার কিছু ধারণা পাবে।
⤔জাতির সবচেয়ে ভাল মেধা ক্লাসরুমের শেষ বেঞ্চ থেকে পাওয়া যেতে পারে।
⤔জীবন এবং সময় পৃথিবীর শ্রেষ্ট শিক্ষক।জীবন শেখায় সময়কে ভালভাবে ব্যবহার করতে,আর সময় শেখায় জীবনের মূল্য দিতে।
⤔তোমার কাজকে ভালবাস কিন্তু তোমার কোম্পানিকে ভালবেসো না ।কারন তুমি হয়ত জান না কখনও কোম্পানিটি তোমাকে ভালবাসবে না।
⤔তুমি যদি সূর্যের মতো আলো ছড়াতে চাও,তাহলে আগে সূর্যের মতো জ্বলো।
⤔ছাত্রজীবনে বিমানের পাইলট হতে চেয়েছিলাম।কিন্তু সেই স্বপ্ন পূরণে ব্যর্থ হয়ে,হয়ে গেলাম রকেট বিজ্ঞানী।
⤔জীবণ হলো এক জটিল খেলা।ব্যক্ত্বিত্ত অর্জনের মধ্য দিয়ে তুমি তাঁকে জয় করতে পার।
⤔জটিল কাজেই বেশি আনন্দ পাওয়া যায়।তাই সফলতার আনন্দ পাওয়ার জন্য মানুষের কাজ জটিল হওয়া উচিৎ।
⤔পরম উৎকর্ষতা হলো একটি চলমান প্রক্রিয়া।এটা হঠাৎ করেই আসে না।ধীরে ধীরে আসে।
⤔যারা মন থেকে কাজ করে না,তারা আসলে কিছুই অর্জন করতে পারে না।আর করলেও সেটা হয় অর্ধেক হৃদয়ের সফলতা।তাতে সব সময়ই একরকম তিক্ততা থেকে যায়।
⤔আমরা তখনই স্মরণীয় হয়ে থাকবো,শুধুমাত্র যখন আমরা আমাদের উত্তর প্রজন্মকে উন্নত ও নিরাপদ ভারত উপহার দিতে পারবো।
⤔যদি কোন দেশ দুর্নীতিমুক্ত হয় এবং সবার মধ্যে সুন্দর মনের মানসিকতা গড়ে ওঠে ,আমি দৃঢ়তার সঙ্গে বিশ্বাস করি সেখানকার সামাজিক জীবনে তিন রকম মানুষ থাকবে,যারা পরিবর্তন আনতে পারেন।তারা হলেন পিতা,মাতা ও শিক্ষক।
⤔শিক্ষাবিদদের উচিৎ শিক্ষার্থীদের মাঝে অনুসন্ধানী,সৃষ্টিশীল,উদ্যোগী ও নৈতিক শিক্ষা ছড়িয়ে দেয়া ,যাতে তাঁরা আদর্শ মডেল হতে পারে।
⤔তরুণ প্রজন্মের কাছে আমার আহ্বান হলো ভিন্নভাবে চিন্তা করার সাহস থাকতে হবে।আবিষ্কারের নেশা থাকতে হবে।যেপথে কেউ যায়নি,সে পথে চলতে হবে।অসম্ভবকে সম্ভব করার সাহস থাকতে হবে।সমস্যা চিহ্নিত করতে হবে এবং তারপর সফল হতে হবে।এগুলোই হলো সবচেয়ে মহৎ গুন।এভাবেই তাদেরকে এগিয়ে যেতে হবে।তরুণদের কাছে এটাই আমার বার্তা।
⤔উৎকর্ষ একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া এবং এটা কোনো দুর্ঘটনা নয়।
⤔জীবন একটি কঠিন খেলা।এই খেলাই জয় তখনই সম্ভব ,যখন তুমি ব্যক্তি হিসেবে জন্মগতভাবে পাওয়া অধিকারকে ধারণ করবে।
⤔জীবনে সমস্যার প্রয়োজন আছে।সমস্যা আছে বলেই সাফল্যের এতো স্বাদ।
⤔শিক্ষাবিদদের বিচক্ষণতা,সৃজনশীলতার পাশাপাশি উদ্যোগী হওয়ার ও নৈতিক নেতৃত্বেরও শিক্ষা দেওয়া উচিৎ।সেই সঙ্গে শিক্ষার্থীদের মধ্যে নিজেকে পথিকৃত হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার যোগ্যতা অর্জন করা উচিৎ।
⤔যদি একটা দেশকে সম্পূর্ণরুপে দুর্নীতিমুক্ত ও একটা জাতিকে সুন্দর মনের অধিকারী করতে হয়,তাহলে আমি বিশ্বাস করি ,তিনজন ব্যক্তি এক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রাখতে পারে___বাবা,মা ও শিক্ষক।
⤔আমরা শুধু সাফল্যের উপরেই গড়ি না,আমরা ব্যর্থতার উপরেও গড়ি।
⤔একজন খারাপ ছাত্র একজন দক্ষ শিক্ষকের কাছ থেকে যা শিখতে পারে তারে চেয়ে একজন ভালো ছাত্র একজন খারাপ শিক্ষকের কাছ থেকে অনেক বেশী শিক্ষতে পারে।
⤔আকাশের দিকে তাকাও। আমরা একা নই।মহাবিশ্ব আমাদের প্রতি বন্ধুপ্রতিম।যারা স্বপ্ন দেখে ও সে মতো কাজ করে ,তাঁদের কাছেই সেরাটা ধরা দেয়।
⤔আমি আবিষ্কার করলাম সবচেয়ে দ্রুতগতিতে বেশি বিক্রি হয়ে যায় সিগারেট ও বিড়ি।অবাক হয়ে ভাবতাম,গরিব মানুষেরা তাঁদের কঠোর পরিশ্রমে উপার্জিত অর্থ এভাবে ধোয়া গিলে উড়িয়ে দেয় কেন।
⤔যারা কাজ করতে পারে না,তাদের অর্জন অন্তঃসারশূন্য,উৎসাহহীন সাফল্য চারদিকে তিক্ততার উদ্ভব ঘটায়।
⤔সূর্যের মতো দীপ্তমান হতে হলে,প্রথমে তোমাকে সূর্যের মতোই পুড়তে হবে।
⤔যদি তুমি তোমার কাজকে স্যালুট কর,দেখো তোমায় আর কাউকে স্যালুট করতে হবে না।কিন্তু যদি তুমি তোমার কাজকে অসম্মান কর,অমর্যাদা কর,ফাকি দাও,তাহলে তোমায় সবাইকে স্যালুট করতে হবে।
--------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
অতীতের ঘরে বাস কর না।
তুমি তোমার চিন্তা দিয়ে,তোমার মগজ ব্যবহার করে বাচো।উপদেশ শোনাটা খুব গুরুত্ত্বপূর্ণ কিছু নয়।প্রত্যক ব্যক্তি তার নিজ অভিজ্ঞতা থেকে উপদেশ দেয়ার চেষ্টা করে ।সুতরাং একেকজনের উপদেশ একেক রকম,একেকজনের সফল হওয়ার পন্থাও একেকরকম ।তুমি তোমার পন্থায় এগিয়ে যাও।
তবে প্রত্যেক সফল ব্যক্তি এক জায়গায় এসে একমত হন,তা হলো পরিশ্রম।অতীতের ঘরে বসবাস কর না এবং ভবিষ্যৎ নিয়ে খুব বেশি দুশ্চিন্তা কর না।বর্তমানে সর্বোচ্চ ভালো কাজটি কর।আমি বোঝাতে চাইছি,তুমি যেখানে বর্তমানে শারীরিকভাবে উপস্থিত আছ,সেখানে মানসিকভাবে,আধ্যাত্মিকভাবে এবং আবেগ নিয়ে উপস্থিত থাক।তোমার সব মনযোগ হোক এই(বর্তমান)সময়টা নিয়ে।সম্পূর্ণভাবে জড়িয়ে থাক তোমার সম্মুখের কাজটি নিয়ে।দয়া করে অনিমেষনেত্রে ওই অভিশপ্ত স্মার্টফোনটির দিকে দিন-রাত তাকিয়ে থেক না।কঠিন পরিশ্রম কর,মনোযোগ দিয়ে শোনো এবং যাই কর না কেন,সম্পূর্ণভাবে জড়িয়ে থাক।পরিশ্রম ছাড়া কোনো কিছু আকাঙ্ক্ষা করো না।
নিজের প্রতি যত্নবান হও।সময়নিষ্ঠ হও।কাউকে কখনও তোমার জন্য অপেক্ষা করিয়ে রেখো না।প্রতিদিনের জীবনে আরও বেশী উপস্থিত হ।জীবনকে যাপন কর।যারা পেছনে কথা বলে তাঁদের কথা শুনবে না।তুনি যখনই কিছু করতে যাও ,কেউ না কেউ দাঁড়িয়ে যাবে এটা বলার জন্য যে,এ কাজটি কর না।এটা তোমার জন্য নয় কিংবা এটা তুমি পারবে না।তাকে এড়িয়ে যাও,তুমি নিজে নিজেকে বল, এটা আমিই পারব।
বানী-অমৃত
পৃথিবীর সবচেয়ে বড় দূরত্ব কোনটি জান?নাহ,জীবন থেকে মৃত্যু পর্যন্ত,উত্তরটা সঠিক নয়।সবচেয়ে বড় দূরত্ব হলো যখন আমি তোমার সামনে থাকি ,কিন্তু তুমি জান না যে আমি তোমাকে কতটা ভালোবাসি।_____রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.
আমি সবসময় নিজেকে সুখী ভাবি,কারণ আমি কখনো কারও কাছে কিছু প্রত্যাশা করি না,কারও কাছে কিছু প্রত্যাশা করাটা সবসময়ই দুঃখের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।___উইলিয়াম শেক্সপিয়ার.
মানুষের সাথে গাছের অনেক মিল আছে।সবচেয়ে বড় মিল হলো,গাছের মতো মানুষেরও শিকড় আছে ।শিকড় উপড়ে ফেললে গাছের মৃত্যু হয়,মানুষেরও এক ধরনের মৃত্যু হয়।মানুষের নিয়তি হচ্ছে তাঁকে অনেক ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র মৃত্যুর ভিতর দিয়ে অগ্রসর হতে হয় চূরান্ত মৃত্যুর দিকে।___হুমায়ুন আহমেদ।
Tags:
উপদেশ