হিরোহিতো: ২য় বিশ্বযুদ্ধকালে জাপানের সম্রাট

হিরোহিতো: ২য় বিশ্বযুদ্ধকালে জাপানের সম্রাট


https://assets.roar.media/assets/TP3yvGa2gMqoIAfo_hirohito_flg1.png

জাপানের ইতিহাসের দীর্ঘতম রাজকীয় শাসনামল যিনি মৃত্যুর আগপর্যন্ত ধরে রেখেছিলেন, তিনি হচ্ছেন সম্রাট হিরোহিতো। প্রায় ৬৩ বছর তিনি সম্রাটের আসনে ছিলেন। চীন দখল চেষ্টা ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ে সম্রাট ছিলেন তিনি। ইতিহাসবিদদের মতে, বিভিন্ন ঘটনার প্রেক্ষাপটে তার ভূমিকা নানা বিতর্কের সৃষ্টি করেছে। বিংশ শতাব্দীর অন্যতম ব্যক্তিত্ব ছিলেন হিরোহিতো।

মিচিনোমিয়া হিরোহিতোর জন্ম ১৯০১ সালের ২৯ এপ্রিল টোকিওর আওয়ামা রাজপ্রাসাদে। সম্রাট মেইজি তখন জাপানের সাম্রাজ্য পরিচালনা করতেন, যিনি ছিলেন হিরোহিতোর দাদা। হিরোহিতোর বাবা ছিলেন তখনকার যুবরাজ ইওশিহিতো, যিনি ১৯১২ সালে সম্রাট মেইজি মারা যাওয়ার পর সম্রাট তাইশো হিসেবে রাজসিংহাসন গ্রহণ করেন।

প্রথানুসারে, রাজপরিবারের সদস্যরা তাদের পিতামাতার দ্বারা প্রতিপালিত হত না। হিরোহিতো তার জীবনের প্রথম কয়েক বছর অবসরপ্রাপ্ত ভাইস-এডমিরাল এবং তারপরে একটি সাম্রাজ্য পরিচারকের তত্ত্বাবধানে কাটিয়েছিলেন। ছোটবেলায় তাকে রাজকুমার মিচি বলে সম্বোধন করা হতো। ৭ থেকে ১৯ বছর বয়সে, হিরোহিতো উচ্চবর্ণের শিশুদের জন্য প্রতিষ্ঠিত স্কুলগুলোতে যোগ দেন। তিনি সামরিক ও ধর্মীয় বিষয়ের পাশাপাশি অন্যান্য বিষয়ে জ্ঞানলাভ করেন। ১৯১৬ সালে হিরোহিতোকে জাপান সাম্রাজ্যের যুবরাজ হিসেবে ঘোষণা করা হয়। এরই মধ্যে তিনি জাপানের সামরিক বাহিনী ও নৌবাহিনীতে সহকারী লেফটেন্যান্ট হিসেবে কমিশনপ্রাপ্ত হন এবং গ্র্যান্ড কর্ডন অফ দ্য অর্ডার অফ ক্রাইস্যান্থেমাম হিসেবে সম্মানীত হন। ১৯১৪ সালের দিকে তিনি পদোন্নতি পেয়ে সামরিক বাহিনীতে লেফটেন্যান্ট ও নৌবাহিনীতে উপ-লেফটেন্যান্ট পদ পান এবং এরপর ১৯১৬ সালে তিনি সামরিক বাহিনীর ক্যাপ্টেন ও নৌবাহিনীর লেফটেন্যান্ট পদে উন্নীত হন।




১৯২১ সালে, হিরোহিতো এবং ৩৪ জন সৈনিক একটি ছয় মাসের সফরের জন্য পশ্চিম ইউরোপে ভ্রমণ করেন; যেটি ছিল প্রথমবারের মতো জাপানী যুবরাজের বিদেশ ভ্রমণ। জাপানে ফিরে আসার পর তিনি দেখতে পেলেন, তার বাবা, সম্রাট তাইশো মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তাই হিরোহিতো জাপানের রাজতন্ত্রে রিজেন্ট পদ গ্রহণ করে সম্রাটের দায়িত্বগুলো পরিচালনা করা শুরু করলেন। ১৯২৩ সালের সেপ্টেম্বরে টোকিওতে এক ভয়াবহ ভূমিকম্প হয়, যেটি দ্য গ্রেট কান্তো আর্থকোয়েক নামে পরিচিত। এর ফলে প্রায় ১ লাখ মানুষ মারা যায় এবং ৬৩ শতাংশ ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়ে যায়।

তখন বিভিন্ন জায়গায় লুটতরাজ ও আগুন লাগানোর ঘটনায় জাপানি লোকজনের মধ্যে ক্রোধ তৈরি হয়। তারা কোরীয় ও বামপন্থীদের দায়ী করে হাজার হাজার কোরীয় ও বামপন্থীদের মেরে ফেলে। এর রেষ ধরে ডিসেম্বর মাসে হিরোহিতোর উপর গুপ্তহত্যার চেষ্টা করা হয়, যেটি তোরানোমন ঘটনা হিসেবে পরিচিত। দাইসুকে নানবা নামক একজন জাপানি কমিউনিস্ট এই ব্যর্থ আক্রমণটি করেন। এই হত্যাচেষ্টার অল্পদিনের মাথায় ১৯২৪ সালে যুবরাজ ও রিজেন্ট হিরোহিতো বিয়ে করেন রাজকুমারী নাগাকো কুনিকে।



সম্রাট তাইশোর মৃত্যুর পর ১৯২৬ সালের ২৫ ডিসেম্বর হিরোহিতো জাপানের ১২৪ তম সম্রাট হন। তিনি যখন ক্ষমতায় আসেন তখন জাপান পৃথিবীর অন্যতম শক্তিশালী দেশগুলোর একটি ছিল। অর্থনীতির দিক থেকে ৯ম, নৌবাহিনীর শক্তির দিক থেকে ৩য়। পাশাপাশি তখনকার লিগ অব ন্যাশনসের কাউন্সিলের চিরস্থায়ী চারটি রাষ্ট্রের মধ্যে জাপান একটি রাষ্ট্র ছিল। সে সময় কেবল পুরুষ ভোটাধিকার আইন পাশ হয়েছে এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পূর্ববর্তী সময়ে রাজনৈতিক দলগুলো বেশ ক্ষমতাধর ছিল। কিন্ত দুর্বল অর্থনীতি, সামরিকতন্ত্রের উত্থান এবং পরপর বেশ কয়েকটি গুপ্তহত্যা গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য বাধা হয়ে দাঁড়ায়। জাতির উচ্চপর্যায়ের আধ্যাত্মিক ব্যক্তিত্ব এবং সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান কমান্ডার ছিলেন হিরোহিতো।



হিরোহিতো চীনে আক্রমণ, পার্ল হারবারে আক্রমণ, এবং অবশেষে মিত্রশক্তির কাছে জাপানী জোটের আত্মসমর্পণের সভাপতিত্ব করেন। অনেক ইতিহাসবিদ বা ইতিহাস সূত্র হিরোহিতোকে ক্ষমতাহীন হিসেবে চিত্রিত করেছে, দেখিয়েছে যে সম্রাট সামরিক সিদ্ধান্তদাতাদের দ্বারা সীমাবদ্ধ, যারা সব সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। কেউ কেউ তাকে শান্তিরক্ষী হিসেবে চিত্রিত করেছেন। জাপান সরকারের বেশ কয়েকজন ব্যক্তিবর্গকে যুদ্ধাপরাধের জন্য দোষী সাব্যস্ত করা হলেও হিরোহিতোকে কখনো এরকম কিছুর মুখোমুখি হতে হয়নি। এমনকি মিত্রশক্তি মহলের অনেকেই ভাবছিলেন, হিরোহিতোর সাম্রাজ্য বা সিংহাসন বজায় রাখতে পারলে জাপানের সরকার ব্যবস্থায় তাদের মনমতো পরিবর্তন আনা যাবে, যেজন্য তারা হিরোহিতোকে নির্দোষ প্রমাণের চেষ্টাও করেছে।

কিন্তু বিভিন্ন বিদ্বান ব্যক্তিবর্গ ভিন্ন মত পোষণ করেছেন। তাদের মধ্যে হার্বার্ট পি. বিক্স (পুলিৎজার পুরষ্কারপ্রাপ্ত) উল্লেখ করেছেন, হিরোহিতোকে যতটা কম ক্ষমতাসম্পন্ন হিসেবে চিত্রিত করা হয়, আসলে তিনি তার থেকে অধিক ক্ষমতাসম্পন্ন ছিলেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শেষদিকে এমনভাবে লোকচোখে হিরোহিতোকে তুলে ধরা হতো, যেন তিনি ক্ষমতাহীন। অথচ তার উল্টোটা বেশ কয়েকবার বিভিন্ন ঘটনায় প্রকাশ পেয়েছে। এই ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে ১৯২৯ সালে তিনি তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীকে ক্ষমতাচ্যুত করেন। পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী গুলিবিদ্ধ হন এবং গুরুতর আহত হন। ১৯৩২ সালে যুদ্ধজাহাজ সীমিত করার একটি চুক্তিকে কেন্দ্র করে আরেকজন প্রধানমন্ত্রী নৌবাহিনী অফিসারদের দ্বারা গুপ্তহত্যার শিকার হন। এরপর থেকে প্রায় সকল প্রধানমন্ত্রী সেনাবাহিনী থেকে নিয়োগ পেতেন।


১৯৩২ সালের জানুয়ারি মাসে একটি ব্যর্থ গুপ্তহত্যা চেষ্টার শিকার হন সম্রাট হিরোহিতো। কোরীয় স্বাধীনতাকামী কর্মী লি বং-চাং একটি হাতবোমা ছুড়ে মেরেছিলেন। এই ঘটনাটি ১৯৩২ এর সাকুরাদামন ঘটনা নামে পরিচিত।

১৯৩৫ সালে রাজনৈতিক পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটে যখন একজন লেফটেন্যান্ট কর্নেল সামুরাই তলোয়ার দিয়ে একজন জেনারেলকে মেরে ফেলেন। ১৯৩৬ সালে টোকিওতে ১,৪০০ জনেরও বেশি সৈন্য বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিল, সেনাবাহিনী মন্ত্রণালয়কে বাজেয়াপ্ত ঘোষণা করেছিল এবং বেশ কয়েকজন উচ্চপদস্থ রাজনীতিবিদকে হত্যা করেছিল। এই ঘটনার পরপরই সম্রাট সশস্ত্র সেনা অভ্যুত্থানটিকে অতি দ্রুত দমন করার আদেশ দিলেন এবং এর সাথে জড়িত অফিসারদের বিদ্রোহী আখ্যা দিলেন। তার আদেশ অনুসারে অভ্যুত্থান দমনে বেশিদূর অগ্রসর না হওয়াতে সম্রাট নিজে সেই দায়িত্ব নিয়ে দমন প্রচেষ্টায় নেতৃত্ব দিলেন। পরবর্তীতে এই ব্যর্থ অভ্যুত্থানের দায়ে ১৯ জন সেনা সদস্যের মৃত্যুদন্ডের আদেশ দেন হিরোহিতো।


এর মধ্যে চীনের সাথে জাপানের সংঘর্ষ বেড়েই চলছিল। ১৯৩১ সালে জাপানী সামরিক অফিসাররা রেললাইন বিস্ফোরণ ঘটিয়ে চীনা দস্যুদের দায়ী করে। এর মধ্যে দিয়ে শুরু হয় তথাকথিত মাঞ্চুরিয়ান ঘটনা। এই ঘটনাটিকে অজুহাত হিসেবে ব্যবহার করে টোকিও থেকে আদেশ গ্রহণ ছাড়াই জাপানী সেনাবাহিনী উত্তর-দক্ষিণ চীনের মাঞ্চুরিয়া প্রদেশ দখল করে এবং সেখানে একটি পুতুল সরকার প্রতিষ্ঠা করে। ১৯৩৭ সালের শীতকালে জাপানী সেনাবাহিনী নানকিং এবং তার আশেপাশে প্রায় ২ লক্ষ সাধারণ মানুষ এবং যুদ্ধবন্দীকে হত্যা করে বলে ধারণা করা হয়। যত্রতত্র ধর্ষণ ঘটে।

হিরোহিতো এগুলোর কোনোটার বিরুদ্ধেই কিছু বলেননি। তিনি ভয়ে ছিলেন, সেনাবাহিনী তাকে ক্ষমতাচ্যুত করে ফেলবে এবং এর মাধ্যমে তিনি দোষীদের যথাযথ শাস্তি প্রদানে ব্যর্থ হন। এছাড়া তিনি রাসায়নিক অস্ত্রের ব্যবহার এবং কৃষকদের উচ্ছেদের অনুমোদন দেন। ১৯৪১ সালে প্রধানমন্ত্রী ফুমিমারো পদত্যাগ করে তার জায়গায় আরেকজনকে মনোনয়ন দিয়েছিলেন, কিন্তু হিরোহিতো তা প্রত্যাখ্যান করেন। এ কারণে পরবর্তীতে কুখ্যাত ও চতুর হিদেকি তোজো প্রধানমন্ত্রীর পদ লাভ করেন।

শুরুর দিকে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধে যেতে অনিচ্ছা প্রকাশ করেন। কিন্তু তারপর বিভিন্ন উপদেষ্টাদের আপত্তি থাকা সত্ত্বেও তিনি পার্ল হারবারে আক্রমণের পরিকল্পনা অনুমোদন করেন। এমনকি তিনি সামরিক বিভিন্ন ব্যাপারে তার ক্ষমতার পরিসর বৃদ্ধি করেন এবং সামরিক কাউন্সিলরদের কনফারেন্সে অংশগ্রহণ করেন, যেটা তিনি কখনো করেননি। কিছু সূত্র মতে, জাপানীদের দ্বারা শত্রুর উপর বিভিন্ন আকস্মিক হামলার ঘটনা শুনে সম্রাট হিরোহিতোর মধ্যে আনন্দ প্রকাশ পেত।

জাপানের উপর পারমাণবিক বোমা হামলা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের মোড় পাল্টে দিয়েছিল, ফলে সম্রাট হিরোহিতো একটি রেডিও সম্প্রচারের মাধ্যমে জাপানের আত্মসমর্পণ ঘোষণা করেন। কিন্তু নিশ্চিত হার জানা সত্ত্বেও আরো আগেই হিরোহিতো এই ঘোষণা দিতে পারতেন। এমনকি ৬ আগস্টের পারমাণবিক বোমা হামলার পরও হিরোহিতো নিজে বা সংসদ সদস্যরা নিঃশর্ত আত্মসমর্পণ করতে রাজি হননি। দেখা গেল, শেষপর্যন্ত ৯ আগস্টের আরেকটি বোমা হামলার পরে হিরোহিতো পটসড্যাম ঘোষণার নিঃশর্ত আত্মসমর্পণ করার সিদ্ধান্ত নিয়ে তার ইচ্ছা প্রকাশ করলেন। এছাড়া যারা যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার জন্য নানা প্রচেষ্টা চালাচ্ছিলো তাদেরকে কঠিনভাবে প্রতিরোধ করে যুদ্ধ থেকে দূরে সরে আসার চেষ্টা করেছিলেন হিরোহিতো।


যুদ্ধের পর বেশকিছু পরিবর্তন আনা শুরু করছিলেন হিরোহিতো। জাপানের লোকজনদের কাছে সম্রাটের পদটি কোনো স্বর্গীয় ও অতিশক্তিশালী পদের থেকে কম ছিল না। হিরোহিতো এরকম চিন্তাধারা ত্যাগ করে একটি নতুন সংবিধান প্রণয়ন করলেন, যা লেখার ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের অবদান রয়েছে।

এই নতুন সংবিধান অনুসারে একজন স্বর্গীয় ও অতিশক্তিশালী ব্যক্তি থেকে খুব কম ক্ষমতাসম্পন্ন প্রতীকী ব্যক্তিতে পরিণত হন সম্রাট হিরোহিতো। ১৯৪৭ সালে তিনি হিরোশিমা পরিদর্শন করেন এবং মৃত্যুর আগপর্যন্ত তিনি হিরোশিমা ও নাগাসাকিতে প্রাণ হারানো মানুষদের জন্য সর্বসমক্ষে শোক প্রকাশ করে গেছেন। এমনকি যুদ্ধে তার ভূমিকা নিয়ে তিনি অনুতাপ বোধ করতেন। পূর্ববর্তী অন্যান্য সম্রাটদের তুলনায় তিনি বেশি বেশি মানুষদের সামনে আসার চেষ্টা করতেন এবং নিজের জীবন সবার সামনে তুলে ধরতেন। জাপানের অর্থনৈতিক অবস্থা উন্নতির ক্ষেত্রে পেছন থেকে সম্রাট কাজ করে যাচ্ছিলেন। ১৯৭১ সালে তিনি ইউরোপ ভ্রমণ করেন, যা জাপানের সম্রাটদের ইতিহাসে প্রথম।

১৯৭৫ সালে হিরোহিতো যুক্তরাষ্ট্র সফরে যান। সেখানে গিয়ে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ফোর্ডের সাথে দেখা করেন। পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ার আর্লিংটন জাতীয় কবরস্থানে অবস্থিত টম্ব অব দ্য আননোউন সোলজার্স-এ গিয়ে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। তাছাড়া তিনি ডিজনিল্যান্ডেও গিয়েছিলেন। তার সারা জীবনের ইচ্ছা ছিল মেরিন বায়োলজি নিয়ে গবেষণা করার এবং পরবর্তীতে তিনি সেটি করেছেন। এমনকি এই বিষয়ে বেশ কিছু বৈজ্ঞানিক গবেষণাপত্র প্রকাশ করেছেন।


হিরোহিতো ৭ সন্তানের জনক ছিলেন। তার ছেলে আকিহিতো পরবর্তীতে সম্রাট হিসেবে আবির্ভূত হন। হিরোহিতো ১৯৮৯ সালের ৭ জানুয়ারি জাপানের রাজপ্রাসাদে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তার সাম্রাজ্যকালকে ‘শোওয়া’ (Showa) নামে আখ্যায়িত করা হয়েছিল।

 

This Bangla article is about former Emperor Hirohito of Japan. Necessary references have been hyperlinked.

Feature Image: japanesemonarchist.blogspot.com

Post a Comment

Previous Post Next Post