হুমায়ূন আহমেদের জীবনী |

হুমায়ূন আহমেদের জীবনী |


হুমায়ূন আহমেদের জীবনী | এর ছবির ফলাফল

নাম
হুমায়ূন আহমেদ/Humayun Ahmed
জন্ম
১৩ নভেম্বর ১৯৪৮ মোহনগঞ্জ বাংলাদেশ
অভিভাবক
শহীদ ফয়জুর রহমান (বাবা)
আয়েশা ফয়েজ (মা)
দাম্পত্যসঙ্গী
গুলতেকিন খান (বি. ১৯৭৩; বিচ্ছেদ. ২০০৩)
মেহের আফরোজ শাওন (বি. ২০০৫)
সন্তান
নিশাদ হুমায়ূন
নিনিত হুমায়ূন
নোভা আহমেদ
শীলা আহমেদ
বিপাশা আহমেদ
নুহাশ হুমায়ুন
পেশা
লেখক, চলচ্চিত্র পরিচালক, গীতিকার, নাট্যকার, রসায়ন অধ্যাপক
ধর্ম
ইসলাম
উল্লেখযোগ্য রচনাবলি
অনন্ত নক্ষত্র বীথি, কোথাও কেউ নেই, পাখি আমার একলা পাখি, যখন গিয়েছে ডুবে পঞ্চমীর চাঁদ, আমাদের শাদা বাড়ি প্রভৃতি
উল্লেখযোগ্য পুরস্কার
একুশে পদক, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, বাংলা একাডেমি পুরস্কার
মৃত্যু
১৯ জুলাই ২০১২ নিউ ইয়র্ক, যুক্তরাষ্ট্র (বয়স ৬৩)
বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ সব কথাসাহিত্যিকদের মধ্যে হুমায়ূন আহমেদ ছিলেন অন্যতম | তাঁর লেখা প্রতিটি সাহিত্যকর্ম আজও অনেক বাঙালী পাঠকদের অনেক প্রিয় | বাংলা কল্পবিজ্ঞান সাহিত্যের একমাত্র পথিকৃৎ তাঁকেই বলা হয় | তিনি একধারে যেমন ছিলেন একজন ঔপন্যাসিক অন্যদিকে আবার ছিলেন একজন লেখক, চলচ্চিত্র পরিচালক, গীতিকার, নাট্যকার ও রসায়নের অধ্যাপক | তাঁর প্রতিটা লেখা এবং চলচ্চিত্র বাংলাদেশ তথা বাংলার প্রত্যেকটি মানুষের অনেক কাছের |
Early Life of Humayun Ahmed:
হুমায়ূন আহমেদের জন্ম ১৯৪৮ সালের ১৩ই নভেম্বর তারিখে, বাংলাদেশের ময়মনসিংহ জেলার অন্তর্গত নেত্রকোণা মহুকুমার মোহনগঞ্জে | তাঁর বাবা ছিলেন ফয়জুর রহমান এবং মা ছিলেন আয়েশা ফয়েজ | ফয়জুর রহমান ছিলেন একজন বাংলাদেশী পুলিশকর্মী যিনি কিনা বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন কর্তব্যরত অবস্থায় শহীদ হন |
জানা যায়, তাঁর বাবার থেকেই তাঁর সাহিত্যচর্চায় উৎসাহ জন্মায় কারণ তাঁর বাবা শহীদ ফয়জুর রহমান ছিলেন ভীষন সাহিত্যানুরাগী মানুষ | তিনিও অনেক পত্র-পত্রিকার হয়ে লেখালেখি করতেন | বগুড়া থাকার সময় তিনি একটি গ্রন্থও প্রকাশ করেছিলেন যেটির তিনি নাম রাখেন ‘দ্বীপ নেভা যার ঘরে’|
হুমায়ূন আহমেদের মাও কিন্তু এই বিষয়ে কম ছিলেন না | তিনিও কিন্তু তাঁর শেষ জীবনে একটি আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ রচনা করেছিলেন, যেটির তিনি নাম রাখেন ‘জীবন যে রকম’ |
তাহলে ভাবো, এত প্রতিভাবান যার বাবা মা তাঁর সন্তান সুন্দর কথা সাহিত্যিক না হয়ে আর কি হতে পারে | তাঁর গোটা পরিবারই ছিলো সাহিত্যমনস্ক | তার বড় দাদা মুহম্মদ জাফর ইকবালও ছিলেন দেশের একজন শিক্ষাবিদ এবং কথাসাহিত্যিক আর সর্বকনিষ্ঠ ভাই আহসান হাবীবও ছিলেন রম্য সাহিত্যিক এবং কার্টুনিস্ট ।
হুমায়ূন আহমেদের কিন্তু দুই ভাই ছাড়াও তিন বোনও ছিলো | যাদের নাম ছিলো যথাক্রমে- সুফিয়া হায়দার, মমতাজ শহিদ, ও রোকসানা আহমেদ ।
Education Life of Humayun Ahmed:
হুমায়ূন আহমেদের শিক্ষা জীবন ভীষন পরিবর্তনশীল ছিলো | যেহেতু তাঁর বাবা একজন পুলিশকর্মী ছিলেন, সেহেতু তাঁর বাবাকে চাকরিসুত্রে দেশের অনেক জায়গায় বদলি করা হতো | আর তাঁর এই বারবার বদলির জন্যই তাঁর ছেলে হুমায়ূন আহমেদ দেশের বিভিন্ন স্কুলে লেখাপড়া করার সুযোগ পায় |
কিন্তু অনেক লেখা পরে জানা যায়, হুমায়ূন আহমেদের প্রাথমিক শিক্ষা বাংলাদেশের সিলেটের অন্তর্গত কিশোরী মোহন পাঠশালায থেকেই শুরু হয়েছিলো ১৯৫৫ সালে | সেখানে তিনি মাত্র চার বছর পড়াশোনা করেন | এরপর ১৯৬৩ সালে তিনি ভর্তি হন বগুড়া জিলা স্কুলে, নবম শ্রেণিতে পড়ার জন্য এবং ১৯৬৫ সালে ওই স্কুল থেকেই তিনি ম্যাট্রিক পরীক্ষা দেন ও সেই পরীক্ষায় দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেন |
তারপর স্কুল শিক্ষা শেষ হলে তিনি এরপর ভর্তি হন ঢাকা কলেজে এবং সেখান থেকে বিজ্ঞান বিভাগে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেন ।
সেই পরীক্ষাতেও ভালো ফল করার পর তিনি সেই ঢাকা কলেজ থেকেই রসায়ন শাস্ত্র নিয়ে পড়াশোনা শুরু করেন এবং বিএসসি ও এমএসসি দুটিতেই ফার্স্টক্লাস পেয়ে ডিগ্রী লাভ করেন |
তিনি ১৯৭৩ সালে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রফেসর হিসেবে নিজের কর্মজীবন শুরু করেন | সেই সময় তার বেতন ছিলো বেতন ছিলো ৬৫০ টাকা | তারপর ১৯৭৪ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদান করেন ও এই বছরেই বিচিত্রা পত্রিকার ঈদ সংখ্যায় প্রকাশিত হয় তার রচিত উপন্যাস “অচিনপুর” |
তারপর তিনি পাড়ি দেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে, এবং সেখানকার নর্থ ডাকোটা স্টেট ইউনিভার্সিটি থেকে পলিমার রসায়ন বিষয়ে গবেষণা করে পিএইচডি লাভ করেন ।
Literary Life of Humayun Ahmed:
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা চলাকালীনই তিনি একটি উপন্যাস লিখে ফেলে তাঁর সাহিত্য জীবনের শুভারম্ভ ঘটান | তাঁর লেখা প্রথম প্রকাশিত উপন্যাসটির নাম হলো “নন্দিত নরকে” | কিন্তু এই উপন্যাসটি লেখার সঙ্গে সঙ্গেই তিনি এটিকে প্রকাশ করতে পারেননি, তার প্রধান কারণ হলো ১৯৭১ সালের বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ |
অবশেষে পরবর্তী বছর অর্থ্যাৎ ১৯৭২ সালে, কবি-সাহিত্যিক আহমদ ছফার উদ্যোগে উপন্যাসটি খান ব্রাদার্স কর্তৃক গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয় | এই উপন্যাসটির প্রচ্ছদ করেন মুহম্মদ জাফর ইকবাল ও ভাস্কর শামীম শিকদার ।
কিন্তু যতই “নন্দিত নরকে” উপন্যাসটিকে হুমায়ূন আহমেদের প্রথম উপন্যাস বলা হোক না কেন, সেটি কিন্তু মোটেই তাঁর লেখা প্রথম উপন্যাস ছিলোনা | এটি লেখার অনেক আগেই তিনি লিখে ফেলেছিলেন  “শঙ্খনীল কারাগার” | কিন্তু সেইসময় সেটিকে তিনি প্রকাশ করতে পারেননি |
পরবর্তীকালে “নন্দিত নরকে” উপন্যাসটিকে সবার আগে প্রকাশ করার ফলেই সেটিই হয়ে যায় তাঁর লেখা প্রথম উপন্যাস |

তাঁর রচিত তৃতীয় উপন্যাসটি ছিলো বিজ্ঞান কল্পকাহিনীমূলক, “তোমাদের জন্য ভালোবাসা” যেটি  “বিজ্ঞান সাময়িকী” সাপ্তাহিক পত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ পায় |
এবার তাহলে চোখ বুলিয়ে নেওয়া যাক তাঁর লেখা সমস্ত সৃষ্টিকর্ম গুলির উপর:
আমার আছে জল(১৯৮৫)
ফেরা(১৯৮৬)
প্রিয়তমেষু(১৯৮৮)
অনন্ত নক্ষত্র বীথি(১৯৮৮)
সম্রাট(১৯৮৮)
আকাশ জোড়া মেঘ (১৯৮৯)
দ্বৈরথ(১৯৮৯)
সাজঘর(১৯৮৯)
এইসব দিনরাত্রি(১৯৯০)
সমুদ্র বিলাস(১৯৯০)
অয়োময়(১৯৯০)
বহুব্রীহি(১৯৯০)
কুহক(১৯৯১)
নীল অপরাজিতা(১৯৯১)
দুই দুয়ারী(১৯৯১)
আশাবরী(১৯৯১)
অনন্ত অম্বরে(১৯৯২)
কোথাও কেউ নেই(১৯৯২)
দি একসরসিস্ট(১৯৯২)
পাখি আমার একলা পাখি (১৯৯২)
নিশিকাব্য(১৯৯২)
জলপদ্ম(১৯৯২)
আয়নাঘর(১৯৯২)
কৃষ্ণপক্ষ(১৯৯২)
জনম জনম(১৯৯৩)
আমার আপন আঁধার(১৯৯৩)
আমি এবং আমরা(১৯৯৩)
তুমি আমায় ডেকেছিলে ছুটির নিমন্ত্রণে (১৯৯৩)
পিপলী বেগম(১৯৯৩)
জল জোছনা(১৯৯৩)
পোকা(১৯৯৩)
মন্দ্রসপ্তক(১৯৯৩)
তিথির নীল তোয়ালে(১৯৯৩)
নবনী(১৯৯৩)
এই আমি(১৯৯৩)
একি কাণ্ড!(১৯৯৩)
ছায়াবীথি(১৯৯৪)
জয়জয়ন্তী(১৯৯৪)
যখন গিয়েছে ডুবে পঞ্চমীর চাঁদ(১৯৯৪)
শ্রাবণ মেঘের দিন(১৯৯৪) 
গৌরীপুর জংশন(১৯৯৫)
পারুল ও তিনটি কুকুর(১৯৯৫)
পেন্সিলে আঁকা পরী(১৯৯৫)
সকল কাঁটা ধন্য করে(১৯৯৫)
কবি(১৯৯৬)
আমাদের শাদা বাড়ি(১৯৯৬)
জলকন্যা(১৯৯৬)
মহাপুরুষ(১৯৯৬)
সূর্যের দিন(১৯৯৬)
দূরে কোথায়(১৯৯৭)
রুমালী(১৯৯৭)
অপেক্ষা(১৯৯৭)
অন্ধকারের গান(১৯৯৭)
মেঘ বলেছে যাব যাব(১৯৯৭)
পরীর মেয়ে মেঘবতী(১৯৯৭)
বোকাভু(১৯৯৭)
কালো জাদুকর(১৯৯৮)
চৈত্রের দ্বিতীয় দিবস(১৯৯৮)
মীরার গ্রামের বাড়ি(১৯৯৮)
ইস্টিশন(১৯৯৯)
উদ্ভট গল্প(১৯৯৯)
এই মেঘ, রৌদ্রছায়া(১৯৯৯)
রূপার পালঙ্ক(১৯৯৯)
কানী ডাইনী(২০০০)
বৃষ্টি বিলাস(২০০০)
যদিও সন্ধ্যা(২০০০)
আজ চিত্রার বিয়ে(২০০১)
তেঁতুল বনে জোছনা(২০০১)
বৃষ্টি ও মেঘমালা(২০০১)
মৃন্ময়ী(২০০১)
কুটু মিয়া(২০০১)
নীল মানুষ(২০০২) 
আসমানীরা তিন বোন(২০০২)
বাসর(২০০২)
একজন মায়াবতী(২০০২)
উড়াল পঙ্খি(২০০২)
অচিনপুর(২০০২)
আজ আমি কোথাও যাবনা(২০০২)
রজনী(২০০৩)
একা একা(২০০৩)
প্রথম প্রহর(২০০৩)
দিনের শেষে(২০০৩)
নক্ষত্রের রাত(২০০৩)
আমি এবং কয়েকটি প্রজাপ্রতি(২০০৩)
এপিটাফ(২০০৪)
এই বসন্তে(২০০৫)
পঞ্চকন্যা(২০০৫)
লীলাবতী(২০০৫)
ছেলেটা(২০০৫)
অরণ্য(২০০৫)
কে কথা কয়?(২০০৬)
মৃন্ময়ীর মন ভালো নেই(২০০৬)
লিলুয়া বাতাস(২০০৬)
কিছুক্ষণ(২০০৭)
দেখা না দেখা(২০০৭)
আনন্দ বেদনার কাব্য(২০০৮)
মীর খাইয়ের অটোগ্রাফ(২০০৮) 
অঁহক(২০০৯)
আজ দুপুরে তোমার নিমন্ত্রণ(২০০৯)
চক্ষে আমার তৃষ্ণা(২০০৯)
দিঘির জলে কার ছায়াগো(২০০৯)
প্রিয় পদরেখা(২০০৯)
বৃক্ষকথা(২০০৯)
বাদল দিনের দ্বিতীয় কদমফুল(২০০৯)
বিরহগাথা – ১(২০০৯)
বিরহগাথা – ২(২০০৯)
বিরহগাথা – ৩(২০০৯)
মানবী(২০০৯)
সানাউল্লার মহাবিপদ(২০০৯)
অন্যদিন(২০০৯)
অমানুষ (অনুবাদ)(২০০৯)
চাঁদের আলোয় কয়েকজন যুবক(২০০৯)
নলিনীবাবুর ঝপ(২০১০)
মাতাল হাওয়া(২০১০)
রূপা(২০১০)
ম্যাজিক মুন্সী(২০১০)
বাদশাহ নামদার(২০১১)
Married Life of Humayun Ahmed:
১৯৭৩ সালে হুমায়ূন আহমেদ গুলতেকিন খানের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন । তাঁর এই প্রথম পক্ষের স্ত্রীর তিন মেয়ে এবং এক ছেলে ছিলো । বড় মেয়ে নোভা আহমেদ, মেজো মেয়ে শীলা আহমেদ এবং ছোট মেয়ে বিপাশা আহমেদ ।
তার বড় ছেলের নাম নুহাশ হুমায়ুন । বাবার মত নুহাশও পরিচালনায় মনোনিবেশ করেন ।
এরপর ১৯৯০ সালের মধ্যভাগ থেকে তার বেশ কিছু নাটক-চলচ্চিত্রে অভিনয় করা অভিনেত্রী  মেহের আফরোজ শাওন সাথে হুমায়ূন আহমেদের ঘনিষ্ঠতা জন্মায় যারফলে অপরদিকে সৃষ্টি হয় পারিবারিক অশান্তি |
অবশেষে ২০০৩ সালে গুলতেকিনের সঙ্গে তাঁর বিচ্ছেদ হয়ে যায় এবং ঐ বছরেই তিনি শাওনকে বিয়েও করেন । এরপর তাদের দুজনের তিনটি সন্তান হয় | কিন্তু প্রথম কন্যাটি জন্মানোর সাথে সাথেই মারা যায় । সেই কন্যার নাম তিনি রাখতে চেয়েছিলেন লীলাবতী । তাঁর বাকি দুই সন্তানের নাম যথাক্রমে- নিষাদ হুমায়ূন ও নিনিত হুমায়ূন ।
Death of Humayun Ahmed:
২০১১ সালের সেপ্টেম্বের মাসে সিঙ্গাপুরে ডাক্তারী চিকিৎসা করার সময় তার দেহের মলাশয়ে ক্যান্সার ধরা পড়ে । যারপর তিনি নিউইয়র্কের মেমোরিয়াল স্লোয়ান-কেটরিং ক্যান্সার সেন্টারে চিকিৎসা গ্রহণে যান | প্রথমের দিকে তার চিকিৎসা প্রাথমিকভাবে সম্ভব হলেও তা অল্প সময়ের মধ্যেই নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায় ।
১২ দফা কেমোথেরাপি ও শেষে অস্ত্রোপচারের পর তাঁর কিছুটা শারীরিক উন্নতি হলেও, শেষ মুহূর্তে শরীরে অজ্ঞাত ভাইরাস আক্রমণ করায় তাঁর অবস্থা দ্রুত অবনতি ঘটে । এরপর কৃত্রিমভাবে লাইভ সাপোর্টে তাঁকে রাখার পর ১৯শে জুলাই ২০১২ তারিখে তিনি নিউ ইয়র্কের বেলেভ্যু হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ।
মৃত্যুর পর তাঁকে বাংলাদেশে আবার নিয়ে আসা হয় এবং সেখানে অবস্থিত নুহাশ পল্লীতে কবর দেওয়া হয় ।

Post a Comment

Previous Post Next Post